ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে নড়বড়ে সাইক্লোন সেল্টারে ২ লাখ মানুষ ঝূঁকিতে

ৃৃৃসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁর উপকূলের ২ লাখ মানুষের জীবন রয়েছে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঝুঁকিতে। তৎমধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা উপজেলার চৌফলদন্ডী,পোকখালী,ইসলামপুর। এসব এলাকায় প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস। বিগত বছর গুলোতে বয়ে যাওয়া স্মরণ কালের কয়েকটি ঘুর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসের ভয়াবহ আঘাতে নিহত হয়েছে এখানকার প্রায় হাজার বনি আদম। সরকারী জরিপ, অনুসন্ধান এবং বিভিন্ন সূত্রে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার,স্লুইচ গেইট অরক্ষিত,বেড়িবাঁধ ও সচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় এ হতাহতের কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারী কয়েকটি সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৬৩ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহত হয়েছে শতাধিক লোক। ১৯৭০সালের ঘুর্ণিঝড়ে কেড়ে নেয় আরো অর্ধশতাধিক লোকের জীবন। এ সময় উপকূলের সব কিছু লন্ড ভন্ড করে দেয়। যোগাযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন। ১৯৯১ সালের স্মরণ কালের প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড়ে সরকারী হিসাব মতে মৃত্যু হয় ৩ শতাধিক লোকের। বিধ্বস্ত হয় হাজার হাজার ঘর বাড়ী,গাছপালা ও ফসলী জমি। গৃহহীন হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সদরের পোকখালী,চৌফলদন্ডী ও ইসলামপুরে পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার,বেড়িবাঁধ না থাকায় এবং দুর্যোগ সময়ে সরকারী প্রচারণার অপ্রতুলতার কারণে বিগত বছর গুলোতে ঘুর্ণিঝড়ে এসব লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ৩ ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ মানুষ এখন প্রাকৃতিক দূর্যোগের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। এলাকাবাসী দ্রুত এসব এলাকার চার পাশে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংষ্কার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চৌফলদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে মোকাবেলা করে বেঁচে আছে এখানকার মানুষ।

পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ উপক’লের বেড়িবাঁধ সংস্কার কিছুটা করা হলেও অদৃশ্য কারণে এখন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে বলেন, তার ইউনিয়নে সবকটি সাইক্লোন সেল্টার নড়বড়ে।

ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম উপকূলের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সহসাই মেরামত করে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে এমনটাই দাবী তার।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের উপরের মহলে অনেক দেন দরবার চলছে।

 

পাঠকের মতামত: